আপনি অনেক সময় না বুঝে না শুনে, একজনের সম্পর্কে কি না কি বলে ফেলেন! কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন আপনার সেই ছোট্ট কথাটির জন্য সেই ব্যক্তির মেন্টালিটি টা কেমন রুপ ধারন করতে পারে? একটা সহজ উদাহরন দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি…
মনে করেন, আপনার ই একজন ফ্রেন্ড একটা নতুন ফোন কিনেছে । হ্যা, তো কিনার পর সে ফ্রেন্ডদের দেখাচ্ছে, এই কেমন হয়েছে রে? সেখান হতে একজন বলে উঠল, আরে এই ফোনটা কিনেছিস তুই, ধুর এর থেকে অপ্পোর এই ফোন টা নিতি…. তাহলে ভালো হতো । তখন সিম্পলী সেই ফ্রেন্ড এর মুড টা কেমন হবে, আইডিয়া করেছেন? করবেন বা ক্যান, আপনার এই ছোট্ট কথায় কি আর হবে? মশাই, এখানেই সাইকোলজি কাজ করে । আপনি যখন এই কথাটি তাকে বলবেন, সিম্পলী সাবকন্সিয়াস মাইন্ড সেটাকেই মেনে নিতে শুরু করবে, যার ফলে সে হতাশ হবে । তখন সেইটার ওপর তার আর অতটা ভালো লাগা কাজ করবেনা, গুরুত্বহীন মনে হবে জিনিস টা । দেখলেন তো, ছোট্ট কথার ভয়াবহ সাইকোলজি?
অন্যদিকে, আপনার এক ফ্রেন্ড এর হাতের লেখা একটু খারাপ । তো, সে লেখার সময় আপনি যদি তার লেখাটা দেখে বলেন, আরেহহ তোর লেখার কোয়ালিটি টা তো জোসস! আরেকটু ভালো করে ট্রাই করলে তোর লেখা তো পুরাই ফাটাফাটি লাগিব্বে রে… সো, তখন সেই অপরপাশের ফ্রেন্ড টা তো খুশি হবেই! এর পাশাপাশি যদি সেও একবার মেনে নেয় আপনার কথা যে, তার লেখা সুন্দর! তাহলে তার সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এক্টিব হয়ে যাবে এবং প্রানপন চেষ্টা করবে আপনার সেই কথাটিকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার । এন্ড একসময় সে সাক্সেস ও হয়ে যাবে । চমৎকার নাহ? আসলেই চমৎকার, ঠিক আপনার মতোই ।
আমার জাষ্ট একটা অনুরোধ থাকবে! কাউকে মোটিভেট করতে না পারেন, প্লিজ ডিমোটিভেট করার চেষ্টা করবেন না ভুলেও । এটা যে কতটা ভয়ংকর ভাবে মাইন্ডে কাজ করে, সেটা আপনি আজ হয়তো ধারনা পেলেন সামান্য হলেও । পারলে একটু উপদেশ দেন, কঠিন বাস্তবতা গুলো তুলে ধরুন, মেন্টালি শান্তনা দিন, উৎসাহিত করুন! আর এসব না পারলে চুপ করে বসে থাকুন, নিজের উপর কাজ করুন, নিজেকে শুধরে নিন ।